অগ্রণী ব্যাংকে রিকভারি বুস্টআপ সভা
করোনাকালে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে ভার্চুয়াল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সকল অগ্রণীয়ানদের উজ্জীবিত রাখতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে রিকভারি বুস্টআপ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১০ জুন ঢাকার ৯টি কর্পোরেট শাখার শ্রেণিকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায় অগ্রগতি বিষয়ে এক ভার্চুয়াল পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জুম ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। সভায় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচক যেমন আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, নন-ইন্টারেস্ট ইনকাম, ডিপোজিট এবং ঋণ ও অগ্রীমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সকল নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে যথাযথ পন্থা অবলম্বন করে কার্যক্রম চালানোর জন্য তাগিদ প্রদান করা হয়। বিশেষ করে খেলাপী এবং আটকে পড়া ঋণ কিভাবে আদায় করা যায়, তা কেইস টু কেইস ভিত্তিতে আলোচনা করে সমাধান দেয়া হয়। ওয়েবিনারে শাখা প্রধানসহ ঋণ কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে খেলাপী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভার প্রধান অতিথি মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম ব্যাংকের সার্বিক সফলতাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান তুলে ধরেন। ব্যাংকের ডিপোজিট ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি সকল অগ্রণীয়ানদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, করোনার এই প্রতিকুলতার মধ্যেও আমাদের ব্যাংকের বেশির ভাগ সূচক ভালো আছে। খেলাপী ও অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের জোরালো এবং বাস্তবসম্মত প্রচেষ্টা চালানোর জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে কেইস টু কেইস বিবেচনায় কাস্টমাইজেশন এবং ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে নিয়মনীতির মধ্যে থেকে সুবিধা ও কৌশল বের করতে হবে। শাখা প্রধান ও ক্রেডিট অফিসারদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগানোর প্রতি তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
ভার্চুয়াল এ সভায় মহাব্যবস্থাপকগণ, কর্পোরেট শাখা প্রধানগণ, উপ-মহাব্যবস্থাপকগণ, আইন উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন স্তরের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।