অগ্রণী ব্যাংকে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন
স্বাধীনতা, মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকা বাঙালি জাতির হাজার বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে সামিল হয় গোটা জাতি। পঞ্চাশ বছর আগে যে দৃঢ়তায় ছিনিয়ে আনা হয়েছিল বিজয়, দেশমাতৃকা রক্ষায় সেই দীপ্ত পদচারণার কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। রাষ্ট্রীয় আয়োজনের পাশাপাশি একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোসহ মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাপক কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অগ্রণী ব্যাংকের সর্বোস্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সামিল হন এই উৎসবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত। এসময় পরিচালক কেএমএন মঞ্জুরুল হক লাবুল, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান গাজী ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপকগণ সহ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ফোরাম, অফিসার সমিতি, সিবিএ এবং অগ্রণী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সকালে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শহীদ জাফর চত্বরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান কার্যালয়ে দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাণী সম্বলিত ব্যানার স্থাপন করা হয়। দুপুরে জুম ওয়েবিনারে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. জায়েদ বখ্ত। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন পর্ষদ সদস্য মফিজ উদ্দীন আহমেদ, কাশেম হুমায়ূন, কেএমএন মঞ্জুরুল হক লাবলু, খোন্দকার ফজলে রশিদ, তানজিনা ইসমাইল ও মো. শাহাদাৎ হোসেন এফসিএ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক একেএম ফজলুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান গাজী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও মো. মনিরুল ইসলাম। সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, সর্বস্তরের নির্বাহীগণ, অফিসার সমিতি, সিবিএ, এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দসহ সকল সার্কেল, অঞ্চল, শাখা ব্যবস্থাপকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বিকেলে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় দেশব্যাপী শপথ অনুষ্ঠানে সরকারের প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অগ্রণী ব্যাংকের মূল ভবন আলোকসজ্জ্বিত করা হয়। জাতীয় পতাকা সহ ব্যানার, ফেষ্টুন শোভা পায় ব্যাংকের আঙিনায়। শোনানো হয় বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা অবিনাশী ভাষণ ও মুক্তির গান। এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সম্মিলিত উদ্যোগে জাতীয় পত্রিকাসমূহে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদর্শনী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।