ই-অগ্রণী দর্পণ

অগ্রণী ব্যাংকের নিজস্ব প্রকাশনা

অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকিং জগতের উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ করোনা পরবর্তী জটিলতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর এবং ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে হাবিব ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। চার দশকের ব্যাংকিং পেশার উল্লেখযোগ্য সময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং অগ্রণী ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে কৃষকদের প্রকৃত অবস্থা দেখতে এমডি-র সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করার সংস্কৃতি চালু করে তিনি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হন। ১৯৯৬ সালের ৩ আগস্ট তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ১১ তম এমডি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৮০ সালে অগ্রণী ব্যাংকের ত্রৈমাসিক ঘরোয়া পত্রিকা ‘অগ্রণী দর্পণ’ এবং ১৯৮১ সালে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃক ইংরেজিতে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক Economic News Letter -এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিআইবিএম প্রকাশিত ব্যাংক পরিক্রমা পত্রিকারও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। অগ্রণী ব্যাংকের বহু ম্যানুয়াল বুক অব ইনস্ট্রাকশনস, গাইডলাইনস প্রথিতযশা ব্যাংকার লুৎফর রহমান সরকার এবং তার নেতৃত্বে তৈরি হয়।
পেশাগত জীবনে ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও নির্ভীক। আর্থিক খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন সব সময় সোচ্চার। ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজারসহ অর্থনীতির নানা বিষয়ে তার মতামত ও বিশ্লেষণ ছিল নির্মোহ ও বিচক্ষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল অসীম। তিনি অনেকগুলো গ্রন্থ প্রণেতা। তার লেখনীতে সমাজের নানা অসংগতি উঠে এসেছে। ইব্রাহিম খালেদ বিভিন্ন গবেষণা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি বহু বছর ধরে এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কচিকাঁচার মেলার কেন্দ্রীয় পরিচালক (দাদাভাই) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

কপিরাইট © অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক সংরক্ষিত | Newsphere by AF themes.