ই-অগ্রণী দর্পণ

অগ্রণী ব্যাংকের নিজস্ব প্রকাশনা

অগ্রণী ব্যাংকের এমডির বিদায় সংবর্ধনা

প্রায় ৩৯ বছরের বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শেষ করলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। ২৪ আগস্ট ২০২২ তাঁর শেষ কর্মদিবসে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় নির্বাহী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সমন্বয়ে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক কেএমএন মঞ্জুরুল হক লাবলু, তানজিনা ইসমাইল ও মো. শাহাদাৎ হোসেন, এফসিএ।
উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান গাজীর সভাপতিত্বে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও মো. মনিরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, উপমহাব্যবস্থাপকগণ, সহকারী মহাব্যবস্থাপকগণ, অফিসার সমিতি, সিবিএ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. জায়েদ বখ্ত এমডি এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের ব্যাংকিং সেক্টরের বিভিন্ন অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের মতো একজন সফল ব্যাংকার হওয়ার পিছনে ছিল তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞা। অনেক দিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে এক সঙ্গে কাজ করেছি। এই প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ডে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন যা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।
বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ব্যাংকের সকল ব্যবসায়িক সূচকেই ইরম Big Push সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করি। এই কর্মপরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাংকের সকল ব্যবসায়িক সূচকেই আশানুরূপ সফলতা অর্জিত হয়। পরবর্তী বছরগুলোতেও সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকে এবং ক্রমেই এ অগ্রযাত্রা আরও বেগবান ও গতিশীল হচ্ছে। তিনি বলেন, একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে হাসিমুখে যেতে পারছি এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। তিনি কর্মরত অগ্রণীয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের চাওয়াটাকে ছোট রাখবেন এবং প্রতিষ্ঠানের পাওয়াটাকে বড় করে দেখবেন। অগ্রণী ব্যাংকের স্বার্থের জন্য সবাইকে এক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখ্ত এর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের সুযোগ্য পরিচালকবৃন্দের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় এবং ব্যাংকের সকল কর্মচারী, কর্মকর্তা, নির্বাহীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রণী ব্যাংক আরও ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই এ ব্যাংক দেশের শীর্ষ ব্যাংকের মুকুট লাভের গৌরব অর্জন করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ‘অগ্রণী ব্যাংক’ নামকরণের স্বার্থকতা প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হবে।
মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম ১৯৮৪ সালে ফিন্যান্সিয়াল আ্যানালিষ্ট হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে যোগদান করেন। তার এমডির বিগত ৬ বছরের মেয়াদকালে তিনি অসংখ্য কার্যকরী, চ্যালেঞ্জিং এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছেন যা অগ্রণী ব্যাংককে কার্যত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

কপিরাইট © অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক সংরক্ষিত | Newsphere by AF themes.